ডেস্ক রিপোর্ট :

স্থানীয়রা সারাদিন ডা: শোভণ দত্তকে গ্রহন করে নিতে ফুলের মালা নিয়ে অপেক্ষাকৃত অবস্থায় দেখা গেছে।যদি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  অস্বীকৃতি জানায় । ডেপুটি সিভিল সার্জনের নির্দেশে দায়িত্ব গ্রহণ।  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. নুর মোহাম্মদ। 

এদিকে অনিয়মের সুর তুলেছেন স্থানীয়রা ডা: নুর মোহাম্মদ ভারাটে লোকজন নিয়ে ডা: শোভন দত্ত বিরুদ্ধে হাসপাতালে ব্যানার পোস্টারে করায় হাতে নাতে ধরে পেলেন স্থানীয় রা পরে পুলিশ এসে ঘটনা বিস্তারিত জেনে তিন যুবকে আটক করে পুলিশ.

অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডাঃ নুর মোহাম্মদ কে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন  স্থানীয়রা। তারা ডা: নুর মোহাম্মদ বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসের নিকট দাবি তুলেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবী ডাক্তার সংকট এর জন্য ডাক্তার নুর মোহাম্মদ দায়ী করা হচ্ছে। 

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জনগনের দাবি কে প্রধান্য দেয়া হবে। 

 অপরদিকে সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলীপ কুমার দেবনাথ ডাঃ শোভন দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য ডাঃ নুর মোহাম্মদকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

 অপরদিকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কলসালটেন্ট (এ্যানসথেসিওলজি) হিসেবে কর্মরত ডাঃ নুর মুহাম্মদকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার শূন্য পদে প্রেষনে পদায়ন/নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ।

এনিয়ে স্থানীয়দের আন্দোলনের মাধ্যমে ডা: নুর মোহাম্মদ কে পুনরায় অন্যত্র বদলি করার দাবি হুমকি প্রদান করেন। দু'পক্ষের রশি টানাটানি তে আজ সারা দিন তিন শত রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বন্ঞিত হয়েছে। 

এদিকে ডাঃ শোভন দত্তকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দ্বি মুখি আচরণের জন্য দায়ী করেন।

সরকারের ২৮টি সরকারি বিভাগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত। স্বাস্থ্য বিভাগ সমুহের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ অন্যতম।

লামা উপজেলায় ডাক্তার সংকট দীর্ঘদিনের ঘটনা ২ লাখ মানুষের জন্য ২ ডাক্তার রয়েছে। একটি চক্র সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় ডাক্তার সংকট নিত্য দিনে ব্যপার বলে একজন রোগী জানান।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খানজামা লুসাই গত ০৯ মার্চ-২৪ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবরে প্রেরিত ডিও লেটারে জানান, ‘লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এখিং মারমাকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় বদলীর আদেশ জারী করা হয়। একই আদেশে ডাঃ শোভন দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে লামায় বদলী করা হয়’।

অপরদিকে  ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ডাঃ নুর মোহাম্মদ  সোমবার সকাল থেকে  বহিরাগত ও অপরিচিত লোকজন নিয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এসংবাদ পেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়তে দেখা গেছে ডাক্তার নুর মোহাম্মদ কে।

 এবিষয়ে  ডাক্তার নুর মোহাম্মদ এর নিকট জানতে চাই তিনি বলেন,আমি চাইলে আরো লোকজন আনতে পারি।

তিনি দীর্ঘ দিন চিকিৎসা সেবা স্থানীয়দের না দেয়ার ক্ষোভের বিষয় জানতে চাইলে বলেন,

আমি ছিলাম তবে রোগীরা মিথ্যা বানোয়াট গল্প শুনিয়েছে আপনাদেরকে।